শিশুদের দেখাশোনা করা সহনশীলতাপূর্ণ একটি কাজ এবং প্রত্যেক শিশুরই ভাল যত্ন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং উপযুক্ত সময়ে গর্ভধারণ না হলে শিশুদের যে ভালোবাসা ও যত্ন পাওয়া প্রয়োজন তা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
তোমরা কী জানো একটি মেয়ে কীভাবে গর্ভবতী হয়?
এসো এই বিষয়গুলো জানি।
গর্ভধারণ প্রক্রিয়ায় পুরুষ এবং নারী দু'জনেরই সমান অংশীদারীত্ব ও দায়িত্ব রয়েছে।
ছেলেরা......
এটা শুধু মেয়েদের বিষয় নয়। তোমাদেরও জানা দরকার। অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ রোধ করা যতটুকু মেয়েদের দায়িত্ব ঠিক ততটুকুই ছেলেদেরও দায়িত্ব।
গর্ভধারণ তখনি ঘটে যখন পুরুষের শুক্রাণুর সাথে নারীর ডিম্বাণুর মিলন হয়। যখন একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক সম্পর্ক করে, তখন খুব সহজেই গর্ভধারণের সুযোগ থাকে।
গর্ভধারণের জন্য শুধুমাত্র একবার শারীরিক সম্পর্কই যথেষ্ট।
অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্কের সময় বীর্যের শুক্রাণু যোনিপথের মাধ্যমে জরায়ুতে প্রবেশ করে। শুক্রাণু জরায়ু থেকে ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হওয়ার জন্য ডিম্ববাহী নালীতে (Fellopian tube) প্রবেশ করে।
শুক্রাণু সেখানে দুই থেকে তিন দিন অবস্থান করতে পারে।
মেয়েদের জরায়ুর দুই পাশে দু’টি ডিম্বাশয় থাকে। প্রতি মাসে পর্যায়ক্রমে ডিম্বাশয় থেকে একটি করে ডিম্বাণু পরিপক্ক হয়ে বের হয়ে আসে। এর পর শুক্রাণুর সাথে মিলিত হওয়ার জন্য ডিম্বাণুটি ডিম্ববাহী নালীতে (Fellopian tube) প্রবেশ করে।
ডিম্ববাহী নালীতেই ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর নিষেক হয়। শারীরিক সম্পর্কের সময় লক্ষ লক্ষ শুক্রাণু নির্গত হয়; তার মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততর এবং সুস্বাস্থ্যসম্পন্ন শুক্রাণুটি পরিপক্ক ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে নিষিক্ত হয়। এভাবেই গর্ভধারণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।
নিষিক্ত ডিম্বাণুটি জরায়ুতে চলে আসে। এসময় জরায়ুর দেয়াল নিষিক্ত ডিম্বাণু গ্রহণের জন্য পুরু হতে থাকে, জরায়ুর এই জমাট বাধা রক্ত ধীরে ধীরে একটি পূর্ণাঙ্গ শিশুতে পরিণত হয়।
যদি শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন না ঘটে তবে জরায়ুর দেওয়ালে নিষেকের জন্য তৈরি হওয়া রক্তের পুরু আবরণী স্তর ভেঙ্গে যায় এবং যোনি পথে বের হয়ে আসে। এটাকেই মাসিক বলে।
মায়ের গর্ভাশায়ে শিশু
গর্ভাবস্থা কী?
গর্ভাবস্থা কেমন?
শুধুমাত্র অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের ফলেই গর্ভধারণ ঘটে থাকে।
গর্ভধারণের সবচেয়ে সাধারণ চিহ্ন হলো মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
সবসময় মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার অর্থই গর্ভধারণ নয়। প্রথমদিকে কিশোরীদের কয়েক বৎসর ধরে অনিয়মিত মাসিক হতে পারে।
কোন কোন সময় কারো মাসিকচক্র এমনিতেই অনেক দেরিতে হতে পারে অথবা কোন কারণ ছাড়াই কোন মাসে মাসিক নাও হতে পারে।
- স্তন ভারি এবং নরম হওয়া
- বমি বমি ভাব (বমি হওয়ার আগের অবস্থা)
- ক্লান্তিবোধ করা
কোন ঔষধের দোকান থেকে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার স্ট্রিপ কিনে ঘরে বসে বা কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষাটি করা যায়। পরীক্ষাটি খুব সহজ ও নিরাপদ, শুধুমাত্র প্রস্রাব পরীক্ষা করতে হয়।
কম বয়সে গর্ভধারণের অনেক রকম ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও অনেক ছেলে এবং মেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বাচ্চা নেওয়ার ঝুঁকিতে জড়িয়ে পড়ে। কারণ
আর কি অন্য কোন কারণ থাকতে পারে?
এই কারণগুলো কি যথোপযুক্ত?
অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ এড়িয়ে চলি!
অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ এড়ানোর সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা।
নিজেকে রক্ষা করো!
নিরাপদ থাকার দায়িত্ব ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই।
গর্ভনিরোধক হলো অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণের প্রতিরোধমূলক পদ্ধতি।
চার ধরণের গর্ভনিরোধক রয়েছেঃ
১. প্রাকৃতিক পদ্ধতি
২. জন্মনিরোধক পদ্ধতি
৩. হরমোন ব্যবহার পদ্ধতি
৪. স্থায়ী পদ্ধতি
কনডম, বড়ি এবং জন্মবিরতিকরণ ইনজেকশন সবচেয়ে নিরাপদ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এক্ষেত্রে কনডম যৌনবাহিত রোগ/এইচআইভি থেকেও রক্ষা করে।
প্রাকৃতিক পদ্ধতি
বীর্য নির্গত হবার পূর্বে লিঙ্গ বের করে নেওয়ার পদ্ধতিকে প্রাকৃতিক পদ্ধতি বলে। এটা পুরোপুরি নিরাপদ পদ্ধতি নয়। সেক্ষেত্রে গর্ভধারণ ঘটতে পারে কারণ, কিছু শুক্রকোষ ইতোমধ্যে জরায়ুতে প্রবেশ করতে পারে।
ক্যালেন্ডার পদ্ধতি
যে দিনগুলোতে ডিম্ব পরিস্ফুটন হয়না অর্থাৎ মাসিক শুরুর আগের ৪ দিন এবং মাসিক শেষ হবার পরের ৪ দিন। মাসিক চক্রের এই দিনগুলি গণনা করে শারীরিক সম্পর্ক করাই জন্মনিরোধের ক্যালেন্ডার পদ্ধতি। বিবাহিত একটু বয়সীদের ক্ষেত্রে এটা কাজ করতে পারে; কিন্তু অল্প বয়সীরা যাদের মাসিক চক্র অনিয়মিত হয় এটা তাদের জন্য নিরাপদ নয়। এক্ষেত্রে তেমন কোন নিরাপদ দিন নেই।
প্রচলিত ধারণাঃ দাঁড়িয়ে শারীরিক সম্পর্ক করলে গর্ভধারণ ঘটে না।
সঠিক ধারণাঃ ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক সম্পর্ক করলে গর্ভধারণ ঘটতে পারে তা সে যে অবস্থাতেই করা হোক না কেন।
প্রচলিত ধারণাঃ শারীরিক সম্পর্কের পরপরই ধুয়ে ফেললে বা লাফালে গর্ভধারণ ঘটে না। লিঙ্গ যোনিপথে কিছুটা প্রবেশ করিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করলে গর্ভধারণ ঘটে না।
সঠিক ধারণাঃ একবার ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক সম্পর্ক করে ফেললে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর নিষেক রোধ করা যায় না।
প্রচলিত ধারণাঃ মাসিক চলাকালে শারীরিক সম্পর্ক করলে গর্ভধারণ ঘটে না।
সঠিক ধারণাঃ মাসিক চলাকালে শারীরিক সম্পর্ক করা নিরাপদ নয়। এটা অস্বাস্থ্যকর এবং এতে আপনার ও আপনার সঙ্গীর সংক্রামক রোগ হতে পারে।
গর্ভনিরোধক পদ্ধতি
বীর্য যোনিতে প্রবেশ প্রতিরোধ করে এবং এইভাবে গর্ভধারণ প্রতিরোধ করে। দুই ধরনের প্রতিরোধ পদ্ধতি রয়েছেঃ ছেলেদের জন্য পুরুষ কনডম এবং মেয়েদের জন্য নারী কনডম
পুরুষ কনডম, নারী কনডম
সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ গর্ভনিরোধকের মধ্যে একটি। এটির আরও একটি সুবিধা হলো এইচআইভি/এইডস সহ যৌনবাহিত রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে ।
কনডম ছেঁড়ার মতো দূর্ঘটনা ঘটলে যত দ্রুত সম্ভব একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যাওয়া প্রয়োজন এবং জরুরি গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়া দরকার। ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক সম্পর্কের ৭২ ঘন্টার মধ্যে এই বড়ি খেলে গর্ভধারণ রোধ করা সম্ভব।
বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা নীতিমালা অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে পরামর্শক্রমে কমপক্ষে এক সন্তানের মায়েরা, পদ্ধতি হিসাবে আইইউডি পছন্দ করতে পারেন।
এটি ডিম্বাণু ও শুক্রাণু নিষেকে বাধা দেয় এবং ১০ বৎসর পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়।
আইইউডি কনডমের মত এইচআইভি/যৌনবাহিত রোগের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয় না।
মেয়েদের ডিম্বাণু স্ফুটনে বাধা দেয় এবং সেক্ষেত্রে গর্ভধারণ রোধ হয়। জন্মবিরতিকরণ বড়ি, ইনজেকশন এবং নরপ্লান্ট হরমোন ব্যবহৃত মাধ্যম।
এই পদ্ধতিগুলো খুব নিরাপদ এবং স্বল্পমেয়াদী।
এদের ব্যবহার বন্ধ করে দিলে গর্ভধারণ ক্ষমতা আবার ফিরে আসে। এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে এইচআইভি অথবা যৌনবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
নারীরা প্রত্যেকদিন এই বড়ি খায়। এই বড়িগুলোতে খুব অল্প পরিমাণে হরমোন থাকে বিধায় প্রতিদিন খেতে হয় যা গর্ভধারণ প্রতিরোধে কার্যকর।
নারীদের জন্য বড়ি ব্যবহারের সুবিধা হলো তারা সঙ্গীর সাথে আলোচনা না করে নিজেরাই পছন্দ করতে পারে।
বড়ি বন্ধ করার পরবর্তী মাস থেকে গর্ভধারণ ক্ষমতা ফিরে আসে। এটা এইচআইভি বা যৌনবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষা দেয় না।
ইমপ্ল্যান্ট হচ্ছে একধরনের ছোট্ট পাতলা কাঠির মতো দন্ড, যা মেয়েদের বাহুর নিচের অংশে চামড়ার ভিতরের দিকে খুব সহজেই স্থাপন করা যায়। যেকোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য-কর্মীর সাহায্যে এটা স্থাপন করা যায় এবং যেকোন সময় চাইলেই খুলে ফেলা যায়। প্রয়োজনে যেকোন মেয়েই নিজের জন্য পদ্ধতি হিসাবে ইমপ্ল্যান্ট পছন্দ করতে পারে। ইমপ্ল্যান্ট ধীরে ধীরে হরমোন নিঃসরণ করে যা ডিম্ব পরিস্ফুটনে বাধা দেয় এবং এভাবেই গর্ভনিরোধে সাহায্য করে।
একবার স্থাপন করলে ইমপ্ল্যান্ট প্রকারভেদে ৩ থেকে ৭ বৎসর পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়।
ইমপ্ল্যান্ট কনডমের মত এইচআইভি ও অন্যান্য যৌনবাহিত রোগের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয় না।
প্রত্যেক তিন মাস অন্তর অন্তর একজন নার্স বা সেবিকা দ্বারা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ইনজেকশন নেওয়া যায়। এটা ডিম্বাণুর নিষেক হওয়া প্রতিরোধ করে এবং গর্ভধারণ থেকে দারুন সুরক্ষা দেয়।
ইনজেকশন কনডমের মত এইচআইভি ও অন্যান্য যৌনবাহিত রোগের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয় না।
ছেলেদের জন্য ভ্যাসেকটমি এবং মেয়েদের জন্য টিউবেকটমি গর্ভধারণ থেকে স্থায়িভাবে সুরক্ষা দেয়।
প্রচলিত ভুল ধারণা ভ্যাসেকটমি পদ্ধতিতে লিঙ্গ কেটে ফেলা হয়, যা সঠিক নয়। এটি একটি সাধারণ অপারেশন প্রক্রিয়া, যেখানে পুরুষ অন্ডকোষ থেকে শুক্রাণুকোষ বীর্যথলিতে যাওয়া রোধ করা হয়।
এই পদ্ধতি বয়স্কদের করতে বলা হয় যাদের ইতোমধ্যে বাচ্চা আছে এবং যারা আর বাচ্চা নিতে চায় না।
পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি পছন্দ করা তোমার অধিকারের একটি বিষয়। পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছ থেকে তথ্য নিতে পারো। অথবা তুমি নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে পারো।
পদ্ধতিগুলোর সুবিধা, অসুবিধা, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া, কার্যকারিতা ইত্যাদি জেনে ও বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত পদ্ধতিটি পছন্দ করা প্রয়োজন। এ ব্যপারে স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করা যায়। স্বাস্থ্যকর্মী তোমাকে সাহায্য করতে পারে।
পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতিগুলোর বিভিন্ন ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে কোন পদ্ধতিটি তোমার জন্য উপযুক্ত হবে তা তোমাকেই নির্ধারণ করতে হবে।
এসমস্ত বিষয়ে বিশেষ করে পদ্ধতি ব্যবহার ও সঙ্গীর পছন্দের ব্যাপারে ছেলেদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক তথ্য নিয়ে প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা নেয়া তোমারই অধিকার। আর এই অধিকারের প্রয়োগ ও উপযুক্ত তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেয়া তোমার ও সঙ্গীর যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ।
বেশিরভাগ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি নারীদের জন্যই ব্যবহার্য। প্রচলিত সামাজিক প্রেক্ষাপটে এ বিষয়ে গবেষণায় নারীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী পুরুষ হওয়ায় এমনটি হয়েছে।
নারীদের জন্য ব্যবহার্য প্রত্যেকটি পদ্ধতিগুলোর মধ্যে কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অন্যদিকে পুরুষের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতি কনডম অনেক নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যের। এটি যৌনবাহিত রোগের সংক্রমণ থেকেও সুরক্ষা দেয়। সঙ্গীর সাথে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার শুধুমাত্র পুরুষের নয়, নারীরও আছে।
বাংলাদেশে প্রতিবছর অনিরাপদ মাসিক নিয়মিতকরণ (এমআর)-এর কারণে অনেক নারী মারা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা জানেন না কোথায়, কাদের দ্বারা, কীভাবে এমআর করা যায় এবং কত সপ্তাহের মধ্যে এটা করা নিরাপদ। না জানার কারণে বা তথ্য গোপন রাখার জন্য তারা প্রশিক্ষিণবিহীন দাই, কবিরাজ ও হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে মাসিক নিয়মিত বা এমআর করান। এটা তাদের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিপদজনক।
আজকাল অস্ত্রোপচার ছাড়াই ওষুধের সাহায্যে মাসিক নিয়মিতকরণ (এমআর) করা যায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী ও নিরাপদ হচ্ছে মিফেপ্রিস্টোন ও মিসোপ্রোস্টল এর কম্বিনেশন।
মনে রেখো!
শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ের উভয়েরই সমান দায়িত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে ছেলেদের বিশেষভাবে দায়িত্বশীল এবং সতর্ক হতে হবে।
মনে রাখতে হবে, কিশোরীদের জন্য ‘নিরাপদ দিন’ বলে কোন বিষয় নেই। যেকোন সময়ই গর্ভধারণ হতে পারে।
কম বয়সে গর্ভধারণ শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এবং ভবিষ্যতের জন্য খারাপ হতে পারে।